ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল সাংবাদিক কর্মীর তথ্য সংরক্ষণ করে। আইডি নম্বর প্রদান করা হবে। সংস্থার পক্ষ থেকে সকল
সদস্যদের কে আইডি কার্ড সংস্থার নামাঙ্কিত ফিতা ও সাংবাদিক কর্মী সদস্য সার্টিফিকেট দেয়া হবে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-১ । নামঃ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা।
দেশের সকল স্তরের সাংবাদিকদের কল্যাণমূলক এই সংগঠনের নাম হবে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা। সংক্ষেপে একে জেএসএস (ঔঝঝ) বলা হবে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-২ । কেন্দ্রীয় কার্যালয়ঃ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার রেজিস্টার্ড কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত হবে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-৩ । লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
(ক) সদস্যদের মর্যাদা সংরক্ষণ, পেশাগত মান উন্নয়ন ও প্রতিভার বিকাশে সহায়তা দান।
(খ) পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সদস্যদের বৈধ অধিকার সংরক্ষণে সহায়তা দান।
(গ) পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্থ হলে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে সম্ভাব্য সহায়তা দান।
(ঘ) সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সাথে সদস্যদের যে কোন বিরোধ মীমাংসায় সহায়তা দান।
(ঙ) সদস্যদের আর্থিক কল্যাণ সাধনে তহবিল গঠন ও পরিচালনা।
(চ) সদস্যদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ।
(ছ) সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান ও গ্রহণে সহায়তা করা।
(জ) দেশে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধানে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালানো ।
(ঝ) সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধনে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন।
(ঞ) দেশের প্রবীণ ও কৃতি সাংবাদিকদের মূল্যায়ন ও বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার প্রবর্তন।
(ট) সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংঠনের সাথে সৌহার্দ্য ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা।
(ঠ) দেশ ও বিদেশের সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন, সফর বিনিময়।
(ড) মেধাবী ও উদ্যমী তরণ-তরুণীদের সাংবাদিকতা পেশায় আকৃষ্ট ও সাবলম্বী করা।
(ঢ) পেশাগত মান উন্নয়নে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-৪ । সদস্যপদঃ
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার পাঁচ ধরনের সদস্য থাকবে। যথাঃ সাধারণ সদস্য, সহযোগী সদস্য, আজীবন সদস্য, সম্মানিত সদস্য ও দাতা সদস্য।
(ক) সাধারণ সদস্যঃ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রকাশিত দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকাসমূহ এবং বেতার ও টেলিভিশনে কর্মরত সাংবাদিক, সংবাদদাতা ও সংবাদশিল্পী হিসাবে বাংলাদেশের সর্বত্র কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য সংস্থার সাধারণ সদস্যপদ উন্মুক্ত থাকবে।
(১) সাধারণ সদস্য পদের জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ও সংশ্লিষ্ট পত্রিকা বা সংবাদ প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্রের ফটোকপি প্রদানকরতে হবে।
(২) প্রত্যেক সাংবাদিককে সংস্থার কোন শাখার মারফত সদস্য পদের জন্য আবেদন করতে হবে। তবে যেখানে কোন শাখা গঠিত হয়নি সেখানকার সাংবাদিকরা পার্শ্ববর্তী কোন শাখার সদস্য হতে পারবেন ।
(৩) প্রত্যেক আবেদনকারীকে দু’টি ফরম পূরণ করতে হবে। একটি সংশ্লিষ্ট শাখায় এবং অপরটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকবে।
(৪) কোন সদস্য এক সময়ে একাধিক অনুমোদিত শাখার সদস্য থাকতে পারবেন না।
(খ) সহযোগী সদস্যঃ গণমাধ্যম বা জনসংযোগ পেশায় কর্মরত অথবা সাংবাদিকতা করতে আগ্রহী যে কোন ব্যক্তি সংস্থার সহযোগী সদস্য হতে পারবেন। সকল সহযোগী সদস্যকে এক বছরের জন্য একটি পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। সহযোগী সদস্যদের কোন ভোটাধিকার থাকবে না।।
(গ) আজীবন সনস্যঃ সংস্থার যে কোন সাধারণ সদস্য নির্ধারিত ফি প্রদান করে আজীবন সদস্য হতে পারবেন।
(ঘ) সম্মানিত সদস্যঃ দেশের প্রবীণ ও প্রথিতযশা যে কোন সাংবাদিককে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সম্মানিত সদস্যপদ ও সনদপত্র প্রদান করা যাবে। সম্মানিত সদস্যদের কোন ভোটাধিকার থাকবে না।
(ঙ) দাতা সদস্যঃ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য দেশের দানবীর ও দানশীল ব্যক্তিদের সমন্বয়ে দাতা সদস্য থাকবে। দাতা সদস্যগণ প্রতি বছরে বার্ষিক দান/ অনুদান প্রদান করবেন।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-৫। সদস্য ফি ও তহবিলঃ
(ক) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সকল সদস্যপদের আবেদনপত্রের সাথে ১০০/- (একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হবে। তবে সংস্থার আইডি কার্ড নিতে হলে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা ফি দিতে হবে।
(খ) সাধারণ সদস্যদেরকে মাসে ১০০ (একশত) টাকা সদস্য ফি দিতে হবে।
(গ) প্রত্যেক সহযোগী সদস্যকে সংস্থার তহবিলে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা ফি দিতে হবে।
(ঘ) আজীবন সদস্য ফি এককালীন ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা।
(ঙ) সংস্থার তহবিল সংস্থার কার্য পরিচালনা ও সাংবাদিকদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।
(চ) অনুদান বা সাহায্য অর্থ সচিবের স্বাক্ষরে গৃহীত হবে এবং তার কাছে সকল অনুদান জমা হবে।
(ছ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে এক বা একাধিক ব্যাংকে সংস্থার তহবিল জমা রাখা যাবে। সংস্থার নীতি নির্ধারক পরিষদের সভাপতি, সদস্য সচিব ও একজন সদস্য নামে সংস্থার কেন্দ্রীয় তহবিল হিসেবে ও নির্বাহী পরিষদের সভাপতি, মহাসচিব ও অর্থসচিব এর নামে বিশেষ তহবিল হিসাব ও শাখার বেলায় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক এর নামে যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে।
(জ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ প্রয়োজনে সকল ইউনিটের উপর বিশেষ ফি ধার্য করতে পারবে।
(ঝ) প্রত্যেক ইউনিট কমিটির অনুমোদন লাভের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিলে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা অনুমোদন ফি দিতে হবে।
(ঞ) সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অর্থসচিব বার্ষিক হিসাব-নিকাশ অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-৬। সদস্যপদ বাতিল ও পুনরুদ্ধারঃ
(ক) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কোন সদস্য পদত্যাগ করলে।
(খ) কোন সদস্যের মৃত্যু হলে।
(গ) কোন সদস্য মানসিক ভারসাম্য হারালে।
(ঘ) কোন সদস্য নৈতিক স্খলনের জন্য আদালত কর্তৃক দন্ডপ্রাপ্ত হলে।
(ঙ কোন সদস্য এক বৎসরের নির্ধারিত সদস্য ফি প্রদানে ব্যর্থ হলে।
(চ) কোন সদস্য সংস্থার সুনাম ক্ষুন্ন করলে বা সংস্থার স্বার্থের পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হলে; তার সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হবে।
(ছ) কোন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল বা স্থগিত করা হলে তা পুনর্বহাল করা এবং নতুন সদস্যপদ প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক পরিষদের সিদ্ধাতই চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-৭। সাংগঠনিক কাঠামো জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাংগঠনিক শাখা গুলো হচ্ছে-
(১) শাখা কমিটি (পৌরসভা/ থানা/ উপজেলা/ জেলা/মহানগর/ সাংগঠনিক বিভাগ/ বিভাগ)
(২) সাধারণ পরিষদ
(৩) উপদেষ্ঠা পরিষদ
(৪) নির্বাহী পরিষদ
(৫) নীতি নির্ধারক পরিষদ
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-০৮ । শাখা কমিটি ( পৌরসভা/ থানা/ উপজেলা/ জেলা/ মহানগর/ সাংগঠনিক বিভাগ/ বিভাগঃ
(ক) দেশের সকল জেলা, উপজেলা এবং গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভা, থানাসহ সংবাদকেন্দ্র পর্যায়ে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার শাখা কমিটি থাকবে।
(খ) সংস্থার পৌরসভা/ থানা/ উপজেলা/ শাখা কমিটি জেলা শাখার তত্তাবধানে, জেলা ও মহানগর সাংগঠনিক বিভাগ শাখা বিভাগীয় শাখা কমিটির তত্ত্ববধায়নে পরিচালিত হবে।
(গ) জেলা, উপজেলা, থানা ও অন্য সকল শাখার সাধারণ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত কর্মকর্তা ও সদস্য নিয়ে শাখা কমিটি গঠিত হবে।
(ঘ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার যে কোন শাখা কমিটি ২১ সদস্য বিশিষ্ট হবে। এসব কমিটি একজন সভাপতি, তিনজন সহসভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন যুগ্ম সম্পাদক, দুইজন সহসাধারণ সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন অর্থ সম্পাদক, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন দফতর সম্পাদক, একজন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, একজন শিক্ষা ও জনকল্যাণ সম্পাদক, এবং অবশিষ্ট ক’জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে।
(ঙ) সংস্থার পৌরসভা/ থানা/ উপজেলা শাখা কমিটির মেয়াদ হবে ১ বছর ও জেলা, মহানগর, সাংগঠনিক বিভাগ ও বিভাগীয় শাখা কমিটির মেয়াদ হবে ২ ( দুই) বছর। কমিটি যখনই গঠিত হোক না কেন মেয়াদের শেষ বর্ষের ডিসেম্বর মাসে শাখা কমিটি পুনঃগঠিত হবে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-০৯ । সাধারণ পরিষদঃ গঠন প্রণালী এবং দায়িত্ব ও ক্ষমতাঃ
(ক) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ১৫১ ( একশত একান্ন) সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদ থাকবে। দেশের সকল সকল জেলা/ মহানগর/ সাংগঠনিক বিভাগ/ বিভাগীয় শাখা কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক অথবা কমিটির যে কোন ১ (এক) জন সদস্য সংস্থার কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের সদস্য হবেন।
(খ) সাধারণ পরিষদের মেয়াদ হবে ২ (দুই) বছর এবং ইংরেজী বর্ষপঞ্জীর ১লা জানুয়ারী থেকে মেয়াদের শেষ বছরের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মেয়াদ গণনা করা হবে।
(গ) প্রতি বছর সাধারণ পরিষদের কমপক্ষে একটি অধিবেশন বসবে।
(ঘ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ন্যূনতম ১ তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।
(ঙ) কোন সদস্যের মৃত্যু হলে, পদত্যাগ করলে অথবা পদচ্যুত হলে সাধারণ পরিষদে তার আসন শূন্য হবে।
(চ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নীতি নির্ধারক পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শূন্য পদ পূরণের পদক্ষেপ নেবেন।
(ছ) যে কোন ন্যায়সঙ্গত কারণে নীতি নির্ধারক পরিষদ সাধারণ পরিষদ ভেঙ্গে দিতে পারবেন।
(জ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও নীতি নির্ধারক পরিষদের সদস্যগন পদাধীকারবলে কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের সদস্য হবে।
(ঝ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নীতি নির্ধারক পরিষদ প্রয়োজনে সংস্থার সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যকে কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিতে পারবে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-১০ । উপদেষ্টা পরিষদঃ
(ক) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় পর্যায়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে।
(খ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নীতি নির্ধারক পরিষদের সভাপতি দেশের প্রবীণ সাংবাদিক, বিশিষ্ট আইনজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক, সংস্থার সাবেক ও প্রবীণ সদস্য এবং প্রবীণ ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের মধ্য থেকে মনোনয়নের ভিত্তিতে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করবেন।
(গ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নীতি নির্ধারক পরিষদের সভাপতি নীতি নির্ধারক পরিষদের সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত করবেন।
(ঘ) উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যের মধ্য থেকে একজন কে সভাপতি মনোনীত করবেন।
(ঙ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার র্নির্বাহী পরিষদের যে কোন একজন সদস্যকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত করবেন।
(চ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নীতি নির্ধারক পরিষদের সভাপতি ও নীতি নির্ধারক পরিষদের সদস্য বর্গ যে কোন জরুরী বিষয়ে মত বিনিময়ের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
(ছ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নীতি নির্ধারক পরিষদের সভাপতি যে কোন সময় উপদেষ্টা পরিষদ পূনঃর্গঠন করতে বা বিলুপ্ত ঘোষণা করতে পারবেন।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-১১ । কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদঃ
(ক) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ১০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ থাকবে।
(খ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের গঠন প্রণালী নিম্নরূপঃ সভাপতি ১ জন, সহসভাপতি ১০ জন, মহাসচিব ১ জন, যুগ্ম মহাসচিব ১০ জন, সহকারী মহাসচিব ১০ জন, সাংগঠনিক সচিব ১০, অর্থসচিব ১ জন, সহকারী অর্থসচিব ৩ জন, দপ্তার সচিব ১ জন, সহকারী দপ্তার সচিব ৩ জন, প্রচার ও প্রকাশনা সচিব ১ জন, সহকারী প্রচার ও প্রকাশনা সচিব ৩ জন, জনকল্যাণ সচিব ১জন, সহকারী জনকল্যাণ সচিব ২জন, প্রশিক্ষণ সচিব ১ জন, সহকারী প্রশিক্ষণ সচিব ২ জন, মানবাধিকার সচিব ১ জন, সহকারী মানবাধিকার সচিব ২ জন, আইন সচিব ১ জন, সহকারী আইন সচিব ১ জন, পরিকল্পনা সচিব ১ জন, সহকারী পরিকল্পনা সচিব ১ জন, ক্রীড়া সংস্কৃতি সচিব ১ জন, সহকারী ক্রীড়া সংস্কৃতি সচিব ১ জন, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব ১ জন, সহকারী তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব ১ জন, গবেষণা সচিব ১ জন, সহকারী গবেষণা সচিব ১ জন, সাহিত্য ও পাঠাগার সচিব ১ জন, সহকারী সাহিত্য ও পাঠাগার সচিব ১ জন, আর্ন্তজাতিক সচিব ১ জন, সহকারী আর্ন্তজাতিক সচিব ১ জন, মহিলা বিষায়াক সচিব ১ জন, সহকারী মহিলা বিষায়াক সচিব ২ জন, সদস্য ২১ জন হবেন।
(গ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন
(ঘ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার যে কোন কর্মকর্তা সভাপতির উদ্দেশ্যে লিখিত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন।
(ঙ) কোন কর্মকর্তা পদত্যাগ করলে, মৃত্যু হলে, অপসারিত হলে নীতি নির্ধারক পরিষদ বিধি মোতাবেক শূন্য পদ পূরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
(চ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ হবে ৪ (চার) বছর। প্রতি দুই বছর অন্তর লিপিয়ার বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারী থেকে নির্বাহী পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ কববেন।
(ছ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নীতি নির্ধারক পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সংখ্যা সর্বম্নি ২৫ থেকে যেকোন বেজোড় সংখ্যক নির্ধারিত হবে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-১২। নীতি নির্ধারক পরিষদ - গঠন কাঠামো ও ক্ষমতাঃ
(ক) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি সর্বোচ্চ পরিষদ থাকবে যাহা নীতি নির্ধারক পরিষদ হিসেবে প্রকাশ থাকবে। সংস্থার বর্তমান সভাপতি মুহম্মদ আলতাফ হোসেন এর নেতৃত্বে প্রথম নীতি নির্ধারক পরিষদ গঠন করা হয়। সভাপতির মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মোছাঃ আছিয়া বেগম পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত নীতি নির্ধারক পরিষদ এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
(খ) নীতি নির্ধারক পরিষদের মেয়াদ হবে ৫ বছর।
(গ) প্রতি ৫ বছর পর পর নীতি নির্ধারক পরিষদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য সংস্থার নীতি নির্ধারক পরিষদের সদস্যদের সভাপতি নির্বাচিত হবেন।
(ঘ) নীতি নির্ধারক পরিষদের সভাপতি পরিষদের সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে পরিষদ সদস্যদের মধ্য থেকে ১ (এক) জন কে সদস্য সচিব নিযুক্ত করবেন।
(ঙ) নীতি নির্ধারক পরিষদের কোন সদস্য পদ শূন্য হলে নীতি নির্ধারক পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্যদের মধ্য থেকে উক্ত শূন্য পদ পূরণ করা হবে।
(চ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার গঠনতন্ত্র সংশোধন, সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ সংস্থার যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সংস্থার সদস্য বাতিল ও অব্যহতি প্রদান, যে কোন শাখা কমিটি বাতিল করা, কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদ ও নির্বাহী পরিষদ বাতিল ও পূনঃগঠন করা, সংস্থার যে কোন পর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনায় নির্দেশনা প্রদান, প্রয়োজনে নির্বাচনে কাউন্সিলর মনোনয়ন দেওয়া সহ সংস্থার যাবতীয় দায়ীত্ব কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের নিকট দায়-বদ্ধ থাকিবে।
(ছ) মাসে এক বার বা তিন মাস পরপর বা প্রয়োজনে যে কোন সময় কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদে আহ্বান করা যাবে।
(জ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নীতি নির্ধারক পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরিষদ সদস্য সংখ্যা সর্বোচ্চ ২৫ জন করা যাবে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-১৩ । নির্বাহী বিভাগঃ সভাপতিঃ
(ক) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার একজন নির্বাচিত সভাপতি থাকবেন।
(খ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ পরিষদ সদস্যদের প্রত্যেক ভোটে তিনি নির্বাচিত হবেন।
(গ) সভাপতি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কার্য নির্বাহী প্রধান হবেন।
(ঘ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ পরিষদ সদস্য হিসেবে ৩ (তিন) বছর দায়িত্ব পালন না করলে কেউ সভাপতি পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
(ঙ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি কর্তৃক সংস্থার সাধারণ পরিষদ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে সহসভাপতিগণ, মহাসচিব, যুগ্ম ও সহকারী মহাসচিবগণ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ নির্বাচিত হবেন এবং কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা স্বপদে বহাল থাকবেন।
(চ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের সাথে পারামস্য করে, সহসভাপতিদের ক্রমনির্ধারিত হবে।
(ছ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি তার কার্যভার গ্রহণের দিন থেকে ৪ (চার) বছর মেয়াদে তার পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন।
(জ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নির্বাহী কর্তৃত্ব কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের ওপর নাস্ত থাকবে এবং এই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তা নীতি নির্ধারক পরিষদ কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে অথবা অন্য কর্মকর্তা দ্বারা প্রযুক্ত হবে।
(ঝ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংস্থার কার্যপরিচালনার জন্যে প্রয়োজনীয় নির্বাহী আদেশ প্রনয়ন ও জারি করবেন।
(ঞ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি কর্তৃক প্রনীত ও জারিকৃত যে কোন নির্বাহী আদেশ নীতি নির্ধারক পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপিত হবে।
(ট) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সকল নির্বাহী ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের নামে গৃহীত হয়েছে বলে প্রকাশ করা হবে।
(ঠ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার গঠনতন্ত্র লংঘন অথবা গুরুতর যে কোন অসদাচরণের অভিযোগে সভাপতিকে পদচ্যুত করা যাবে।
(ড) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতির বিরুদ্ধে নীতি নির্ধারক পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যার ন্যুনতম দুই-তৃতীয়াংশের স্বাক্ষরে অনুরূপ অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের সদস্য সচিবের কাছে পাঠাতে হবে।
(ঢ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতির বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র লংঘন অথবা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ সম্বলিত নোটিশ প্রাপ্তি ৩০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের সদস্য সচিব নীতি নির্ধারক পরিষদের বৈঠক আহ্বান করা হবে।
(ণ) কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের সদস্য সচিব ৩০ দিনের মধ্যে নীতি নির্ধারক পরিষদের বৈঠক আহ্বানে ব্যর্থ হলে নোটিশ প্রদানকারী সদস্যরা পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে বৈঠক আহ্বান করতে পারবেন।
(ত) অনুরূপভাবে আহূত বৈঠকে যে কোন একজন সহসভাপতি অথবা কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদ যে কোন সদস্য সভাপতিত্ব করবেন।
(থ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ বিবেচনার পর নীতি নির্ধারক পরিষদের মোট সদস্যের নূন্যতম তিন-চতুথাংশ সদস্যের ভোটে তা যর্থাথ্য বলে গৃহীত হলে সভাপতির পদ শূন্য হবে।
(দ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সভাপতি মারা গেলে নির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতিদের ক্রমনুযায়ী প্রথম জন মেয়াদের অবশিষ্ট সময় বা নির্বাচন পর্যন্ত সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-১৪। নির্বাহী বিভাগঃ মহাসচিবঃ
(ক) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের একজন মহাসচিব থাকবেন।
(খ) মহাসচিব সংস্থার লক্ষ উদ্দেশ্য ও সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নে প্রধান নির্বাহী বা সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
(গ) মহাসচিব সংস্থার কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংস্থার গঠনতন্ত্র সংশোধন, সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তাবায়নের বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ সংস্থার যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সংস্থার সদস্য বাতিল ও অব্যাহতিপ্রদান, যে কোন শাখা কমিটি বাতিল করা, কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদ ও নির্বাহী পরিষদ বাতিল ও পূনঃগঠন করা, সংস্থার যে কোন পর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনায় নির্দেশনা প্রদান, প্রয়োজনে নির্বাচনে কাউন্সিলর মনোয়ন দেওয়া সহ সংস্থার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন।
(ঘ) মহাসচিব তার সকল কাজের জন্য সংস্থার নির্বাহী সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবেন।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-১৫ । আঞ্চলিক সাংগঠনিক কমিটিঃ
ধারা টি বাতিল করা হয়েছে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-১৬ ॥ সদস্য ও কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
(ক) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থায় কর্মকর্তারা অবৈতনিক হবেন। তবে সাংগঠনিক ও দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদ এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভাতা আ বেতন ভিত্তিক কর্মকর্তা ও স্টাফ নিয়োগ করা যাবে।
(খ) সাধারণভাবে সভাপতি সকল সভায় সভাপতিত্ব ও সভার শৃঙ্খলা বিধান করবেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে ক্রম অনুযায়ী
একজন সহ-সভাপতি তার দায়িত্ব পালন করবেন।
(গ) মহাসচিব সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধকরণ ও সংরক্ষণের জন্য দায়ী থাকবেন। তবে এ ব্যাপারে তাকে যুগ্ম মাসচিব ও
সহকারী মহাসচিব সাহায্য করবেন এবং তার অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব পালন করবেন।
(ঘ) সাধারণভাবে সভাপতি ও মহাসচিব সকল ব্যাপারে সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করবেন।
(ঙ) যুগ্ন-মহাসচিব সদস্যদের তালিকা সংরক্ষণ করবেন এবং সভাপতি নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশনের কাছে এই তালিকা পেশ করবেন। এই তালিকাই ভোটার তালিকা হিসেবে গণ্য হবে।
(চ) সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সকল কর্মকর্তা ও সদস্যগণ নীতি নির্ধারক পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংস্থার সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-১৭ ॥ নির্বাহী পরিষদের ক্ষমতাঃ
(ক) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যাবতীয় কাজকর্ম পরিচালনা করবে এবং নীতি নির্ধারক পরিষদের কাছে দায়ী থাকবে।
(খ) কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য গঠনতন্ত্রের কোন ধারা যথেষ্ট না হলে বা
গঠনতন্ত্রে কোন কিছু উল্লেখ না থাকলে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
(গ) গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপের জন্যে যে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
(ঘ) নির্বাহী পরিষদ যে কোন শাখার আয়-ব্যয়ের হিসাব বা কার্যবিবরণী দেখতে চাইতে পারবে।
(ঙ) সভাপতি/ মহাসচিব শাখাসমূহের প্রতি সংস্থার আদর্শ উদ্দেশ্য অনুযায়ী নির্দেশ জারি করতে পারবেন।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-১৮ ॥ সাধারণ সভা ও কাউন্সিলঃ
(ক) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাংগঠনিক বছর ১লা জানুয়ারী থেকে ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত গণনা করা হবে।
(খ) কোন প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক বা সামাজিক দুর্যোগ না ঘটলে প্রতি দুই বছর অন্তর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সাধারণ সভা
ও কাউন্সিল সম্পন্ন করতে হবে।
(গ) নির্বাহী পরিষদ দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা, কাউন্সিল ও নির্বাচনের তারিখ, সময়সূচী ও স্থান নির্ধারণ করবে এবং তা
অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
(ঘ) সাধারণসভার অন্ততঃ ১ মাস পূর্বে প্রতিটি শাখাকে সাধারণ সভার সংবাদ জানাতে হবে। (ঙ) সাধারণ সভায় যদি কোন সদস্য গঠনতন্ত্রের সংশোধনী আনতে চান তাহলে সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের ১৫ দিন আগে তা নির্বাহী পরিষদের কাছে পেশ করতে হবে।
(চ) সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করার জন্য একজন সভাপতি নির্বাচিত করতে হবেন।
(ছ) বিদায়ী নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তাগণ দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় ভাষণ দিতে পারবেন এবং সভাপতির অনুমতির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন। তারা নীতি নির্ধারক পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপন্থী কোন বক্তব্য রাখতে পারবেন না।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-১৯ ॥ নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনঃ
(ক) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে।
(খ) ১ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ১ জন সচিব ও ৩ জন নির্বাচন কমিশনার সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।
(গ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদ নির্বাচন কমিশন গঠন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন
কমিশনার ও সচিব নিয়োগ করবেন।
(ঘ) নির্বাচন কমিশনের কোন সদস্য জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কোন নির্বাহী পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
(ঙ) নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবে এবং জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার গঠনতন্ত্র ও কেন্দ্রীয় নীতি
নির্ধারক পরিষদ প্রণীত বিধানের অধীন হবেন।
(চ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদ প্রণীত বিধি-বিধান ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক কেন্দ্রীয় নীতি
নির্ধারক পরিষদের নির্বাহী আদেশ বলে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম নির্ধারণ করবেন।
(ছ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন
কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকবে।
(জ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের সহযোগিতায় ভোটার তালিকা প্রকাশ
করবেন।
(ঝ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ পরিষদের সদস্যদের ভোটে সভাপতি ও নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ নির্বাচিত
হবেন।
(ঞ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি পদের মেয়াদ অবসানের পূর্বে ১ মাসের মধ্যে শূন্যপদ পূরণের জন্য নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হবে।
(ট) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১ মাস পূর্বে নতুন নির্বাহী পরিষদ গঠনের জন্য
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
(ঠ) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ পরিষদ ভেঙ্গে দিলে নতুন পরিষদ গঠনের জন্য ১ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে
(ড) জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ তদন্ত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারক পরিষদের রায় চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।।
(ঢ) নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সংস্থার সকল সদস্য ও কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের কর্তব্য হবে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-২০ ॥ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভাঃ
(ক) মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব বা সহকারী মহাসচিব সংস্থার সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে নির্বাহী পরিষদের সভা আহ্বান
করবেন।
(খ) সভাপতি উপস্থিত না থাকলে ক্রম অনুযায়ী একজন সহসভাপতি এবং সহ-সভাপতিদের মধ্যে কেউই উপস্থিত না থাকলে কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের যে কোন সদস্য নির্বাহী পরিষদের আহূত সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
(গ) প্রতিটি সভার জন্য ৭ দিনের নোটিশ দিতে হবে। প্রত্যেক সদস্য যাতে ৭ দিনের পূর্বে সভার সংবাদ পান তার ব্যবস্থা করতে হবে। সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ বা চিঠির মাধ্যমে ডাকযোগে বা এসএমএস করে সংবাদ দিতে হবে।
(ঘ) কোন জরুরী পরিস্থিতি দেখা দিলে সভাপতি ও মহাসচিব তা মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেবেন। নির্বাহী পরিষদের পরবর্তী সভায় তা অনুমোদন করতে হবে।
(ঙ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক-চর্তুথাংশ সদস্য উপস্থিত হলে নির্বাহী পরিষদের সভায় কোরাম হবে।
(চ) প্রতি বছর নির্বাহী পরিষদের অন্ততঃ দু’টি বৈঠক হতে হবে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-২১ ॥ বিশেষ সাধারণ সভাঃ
(ক) কোন জরুরী পরিস্থিতির উদ্ভব হলে বা কোন গুরুূূূূূত্বপূর্ণ বিষয় কিংবা গঠনতন্ত্রের সংশোধনী প্রস্তাব বিবেচনার জন্য
বিশেষ সাধারণ সভা ডাকা যেতে পারে।
(খ) সাধারণ সভার কোরাম যে ভাবে নির্ণিত হয় বিশেষ সাধারণ সভার কোরাম সেভাবেই নির্ণিত হবে।
(গ) সাধারণতঃ সভাপতি অথবা একজন সহসভাপতি এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রাব থাকলে কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের যে কোন সদস্যকে সভাপতি করতে হবে।
(ঘ) অনাস্থা ব্যতীত অন্য কোন প্রস্তাব বিশেষ সাধারণ সভায় উত্থাপন করতে হলে বিশেষ সাধারণ সভার ৩০ দিন পূর্বে প্রস্তাব মহাসচিবের কাছে পাঠাতে হবে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-২২ ॥ তলবী সভাঃ
(ক) নির্বাহী পরিষদের অর্ধেকের বেশি সদস্য কোন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনার উদ্দেশ্য নির্বাহী পরিষদের বৈঠক ডাকার জন্য লিখিতভাবে আবেদন জানালে সেই আবেদন প্রাপ্তির দু’সপ্তাহের মধ্যে মহাসচিবকে কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের সাথে পরামর্শক্রমে তলবী সভা ডাকতে হবে। এ তলবী সভার কোরামের জন্য নির্বাহী পরিষদের শতকরা ৫১ ভাগ সদস্যের উপস্থিতি দরকার হবে।
(খ) কোন শাখার এক-তৃতীয়াংশ সদস্য কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার জন্য লিখিত আবেদন জানালে শাখা সভাপতি বা সম্পাদক আবেদন প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে শাখার সভা আহ্বান করতে বাধ্য থাকবেন। শাখার এরূপ সভার কোরামের জন্য মোট সদস্যের শতকরা ৮০ ভাগ উপস্থিতি দরকার হবে।
(গ) এক-পঞ্চমাংশের বেশী সংখ্যক সাধারণ সদস্য কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনার জন্য জরুরী সাধারণ সভা আহ্বানের আবেদন জানালে এ আবেদন প্রাপ্তির ১ মাসের মধ্যে জরুরী সাধারণ সভা আহ্বান করতে হবে। এ ধরনের জরুরী সাধারণ সভায় কোরামের জন্য মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের উপস্থিতি দরকার হবে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-২৩ ॥ অনাস্থা প্রস্তাবঃ
(ক) বিশেষ সাধারণ সভা ব্যতীত সভাপতি, মহাসচিব, নির্বাহী পরিষদ বা একই সাথে অর্ধেকের বেশী নির্বাহী পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা যাবে না।
(খ) অনাস্থা প্রস্তাবে প্রস্তাবক এবং সমর্থকদের স্বাক্ষর থাকতে হবে। তাছাড়া অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সাধারণ সদস্যের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
(গ) অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনার জন্য আহুত বিশেষ সাধারণ সভায় মোট সদস্যের দু’তৃতীয়াংশ উপস্থিত না থাকলে সভায় অনাস্থা প্রস্তাব আলোচিত হবে না।
(ঘ) উপস্থিত সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের সম্মতি ব্যতীত অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হবে না।
(ঙ) শাখার বেলায় একই বিধি প্রযোজ্য।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গঠনতন্ত্র
ধারা-২৪ ॥ বিলুপ্তিঃ
(ক) সংখ্যাগরিষ্ঠ শাখাসমূহ স্ব স্ব শাখায় একান্তভাবে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বিলোপ সাধনের জন্য আহূত সভায় সংস্থার বিলোপ সাধনের পক্ষে মত প্রকাশ ও তা কেন্দ্রকে কমপক্ষে ৩ মাসের নোটিশে জানানোর পর পরবর্তী সাধারণ সভায় বা বিশেষ সাধারণ সভায় যদি তা তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে অনুমোদিত হয় তবেই সংস্থার বিলোপ সাধন করা যাবে।
(খ) বিশেষ বা সাধারণ সভায় বিলোপ সাধনের প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর উক্ত সভাতেই সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের সর্বাধিক স্বার্থ রক্ষার অনুকূলে সংস্থার যাবতীয় দায় ও পরিসম্পদসমূহের নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
(গ) শাখার বিলুপ্তির জন্য কমপক্ষে দু’মাসের নোটিশে শাখার সাধারণ সভায় কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পরিষদের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোট প্রদত্ত হতে হবে। উপরন্তু তা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার পরবর্তী সাধারণ সভায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদিত হতে হবে।
(ঘ) শাখার বিলুপ্তি সাধনে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর তার দায় ও পরিসম্পদ সমূহের নিষ্পত্তির দায়িত্ব জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।